
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
আদালতের হাজতে হামলার শিকার আ.লীগ নেতা

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

আরও পড়ুন
বগুড়ার আদালতের হাজতখানায় হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দোতলার হাজতখানায় কয়েকজন তার ওপর এ হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশে তাকে হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, একটি মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার
দুপুরে শফিককে কারাগার থেকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। হাজিরা
শেষে তাকে হাজতে আনা হয়। সেখানে কয়েকজন হাজতি ও কয়েদি ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে হাজতের
ওয়াশরুমে শফিকের হাতে থাকা পানির বোতল থেকে পানি পড়ে হত্যা মামলার আসামি সাগরের গায়ে।
এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাগর, সাব্বির, জলিল ও কালাম ওয়াশরুম
থেকে বের হওয়ার পর শফিকের ওপর হামলা চালায়। তাকে মেঝেতে ফেলে মাথা, কোমড় ও হাতে আঘাত
করে। এ সময় হাজতে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ও শফিককে অন্যত্র সরিয়ে
নেন।
শফিক বলেন, ‘কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক
হোসেনের নির্দেশে হত্যা মামলার আসামিরা আমাকে হত্যার জন্য হামলা চালিয়েছে। ওয়াশরুমে
আশ্রয় নিলেও সেখানে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থেকেও নিরাপত্তা পাচ্ছি না। আমি
আহত হলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে দ্রুত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে আদালতের
হাজতে আসামিদের স্বজনদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় আমার ওপর এ হামলা
চালানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করব। এখানে মামলা না নিলে প্রয়োজনে
হাইকোর্টে যাবেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেনকে হুকুমের আসামি করবো।’
অভিযোগের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে
যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও
তিনি তা রিসিভ করেননি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া)
সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘কোর্ট ইন্সপেক্টর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। হাজতের ওয়াশরুমে
পানি ছিটানো নিয়ে হাজতিদের মধ্যে বিরোধ হয়। এরপর ওয়াশরুমের বাইরে হাজতি শফিককে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা
করে দেখা হবে।’