
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ফেনীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৩৫

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

আরও পড়ুন
ফেনীর দাগনভূঞায় দীর্ঘদিনের গ্রুপিং ও বাজার ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে দাগনভূঞা সদরে আতাতুর্ক সরকারী হাই স্কুল, দাগনভূঞা বালিকা বিদ্যালয় ও আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা চলছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া সম্প্রতি আকবর হোসেন ও জামশেদুরের পক্ষের মধ্যে বাজার ইজারা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। পৌরসভা থেকে বাজার ইজারা পেয়েছেন আকবর সমর্থকরা। এর জেরে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটাধাওয়া চলতে থাকে। পরে ১২টার দিকে পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দাগনভূঞায় কতিপয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বৈধ উপায়ে ইজারা না নিয়ে পেশিশক্তির বলে ইজারার লোকদের বাধা প্রদানসহ মারধর করেছে। এমনকি বৈধ উপায়ে ইজারার আদায় টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যেমন পরীক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তেমনি অভিভাবকেরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। জামশেদুরের (বহিষ্কৃত) নেতৃত্বে এ অপকর্ম করেছে। বাজার ইজারা কে পেল, কে পেল না তা আমার বিষয় না। আমি রাজনীতি করি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সবাই আমার আপনজন। চাঁদাবাজরা আমার দলের কেউ নন।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক যুগান্তরকে বলেন, আকবর হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে রোববার এসে বাজার ইজারাদারকে ইজারার অর্থ দেওয়ার জন্য জানিয়ে দেন। ইজারা কখন হয়েছে, কবে বরাদ্দ দিয়েছে তা কেউ জানে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধরা প্রতিবাদ করে। তর্কে জড়িয়ে আকবর সমর্থিতরা প্রতিবাদকারীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এসপি (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) তসলিম হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, যৌথবাহিনী মাঠে আছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা ছাড় পাবে না জানিয়ে এসপি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযান চলবে।