
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
মধুপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বৈশাখী আড্ডা

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী আড্ডায় সমবেত হয়েছিল। স্বজন সমাবেশের এ আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন স্বজন সংগঠনের সদস্যসহ শুভানুধ্যায়ী অনেকেই।
সোমবার দুপুরে মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ রোডের লিউ সাকি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডের কফি আড্ডায় এ বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী পাঠক সংগঠনটি।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশের মধুপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির।
আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দৈনিক যুগান্তরের মধুপুর ও ধানবাড়ী প্রতিনিধি সাংবাদিক এসএম শহীদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সবুজ মিয়া, ব্যবসায়ী মোন্তাজ আলী সরকার, এরশাদ হোসেন রাশেদ, রোভার স্কাউট আন্দোলনের মারুফ।
আড্ডার আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারিত না থাকলেও মধুপুর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় উঠে এসেছিল অংশগ্রহণকারীদের কথনে।
স্থানীয় পরিবেশ, মরে যাওয়ার দিকে ধাবিত বংশাই নদ, মধুপুরের বন, রাজনীতি,তারুণ্য শক্তি, মানবতা, ধর্ম এবং গাজায় মানবাধিকার সংকটের বিষয়টি বাদ যায়নি। উঠে এসেছে বাঙালি সংস্কৃতিতে বৈশাখ যুক্ত হওয়ার ইতিহাস এবং যাদের ভূমিকা এ ক্ষেত্র অগ্রগণ্য। সম্রাট আকবর, আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী, সম্রাট শাহজাহান, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় আড্ডায়।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে মধুপুরের আনন্দমঠ, ফকির-সন্ন্যাস বিদ্রোহের ইতিহাস বাদ যায়নি আড্ডার আলোচনা থেকে। উঠে এসেছে ১৯৭১ সালের এই আজকের দিনে মধুপুরের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান বাহিনীকে ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) প্রতিরোধ করেছিলেন। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে পাঁচজন বেসামরিক মানুষ শহিদ হয়েছিলেন। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনা চলে।
এসব আলোচনা থেকে অনেক সমৃদ্ধ হওয়া যায় এমন কথাও বলেছেন অনেকে। এসব আড্ডা অব্যাহত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তারা।
মানবতার সেবায় আগামী দিনগুলোতে স্বজন সমাবেশ সমানতালে কাজ করে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি বক্তব্যে তুলে ধরেছেন স্বজন সমাবেশের সদস্যরা।
স্বজন সমাবেশের আড্ডায় যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব সবুজ আহাম্মেদ, সদস্য খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল, বৃষ্টি কর্মকার, তাসফিয়া জাহান, আফজাল হোসেন, ইকরামুল হক, আশরাফুল ইসলাম মারুফ উপস্থিত ছিলেন।