
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
ছেলেধরা সন্দেহে মেয়ের সামনেই বাবাকে মারধর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ এএম

আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচরে ছেলেধরা সন্দেহে মেয়ের সামনেই এক বাবাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের তাতারকান্দা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সোহেল মিয়াকে (৩০) পুলিশ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
সোহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া সওদাগর পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ঘটনার সময় তিনি তিন বছরের মেয়ে লাইসাকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন সোহেল। পরে শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে অটোরিকশার গতিরোধ করে তাকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাদের দুজনকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, শিশুটির বাবাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে লোকজন মারধর করেছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে প্রতিবেশী সাবিনা আক্তারকে বিয়ে করেন সোহেল। এ দম্পতির ঘরে সজিব (৮), লাইসা আক্তার (৩) ও সাত মাসের আরেকটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার এসআই শুভ আহমেদ বলেন, উদ্ধারের পর সোহেলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সোহেলের স্ত্রী কোলের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভৈরবে তার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন স্ত্রীর খোঁজে।
সোহেলের প্রতিবেশীরা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে প্রায়শ সাবিনা বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের বাসায় আশ্রয় নেয়। আগে নৈতিক সমস্যা থাকলেও এখন সোহেল ভালো হওয়ার চেষ্টা করছে। ফেরি করে বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিকের মালামাল বিক্রি করে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল আলম শামীম বলেন, এক সময় সোহেল মাদক এবং ছিচকে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সোহেল ও তার মেয়ে লাইসাকে রাত ৯টার দিকে জিডি মূলে তার মা, বাবা ও ভাই-বোনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকজন ভুল বুঝে তাকে মারধর করেছে।