
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
জোড়া খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
-67fbec814ebff.jpg)
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারে গুলিবর্ষণ করে দুজনকে খুনের মামলায় আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দঁগাও এবং জেলার হাটহাজারী থানার ৮ মামলায় সাজ্জাদকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহীম খলিল পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য ছোট সাজ্জাদকে মহানগর আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, গত ৩০ মার্চ রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে প্রবেশ করে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানের পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ নামে দুই যুবক নিহত ও দুজন আহত হন।
পরে নিহত মানিকের মা ফিরোজা বেগম কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাসহ ৭ জনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দুজনকে হত্যা করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, জোড়া খুনের মামলায় কারাগারে থাকা সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে ৭ দিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আদালত চান্দগাঁও থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫টি ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার একটি মামলায় ছোট সাজ্জাদকে শ্যোন অ্যারেস্টের অনুমতি দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) হাবিবুর রহমান জানান, হাটহাজারী থানা পুলিশ হত্যাসহ দুটি মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ বেগম নাজমুন নাহার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা পুলিশ অস্ত্রসহ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
একই বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাজ্জাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে খোদ পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। গত ২৮ জানুয়ারি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিকে ন্যাংটা করে পেটানোর হুমকি দেন সাজ্জাদ। এরপর তাকে গ্রেফতারে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।