
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
আদালতের মালখানায় চুরির ঘটনায় টাকাসহ গহনা উদ্ধার, ২ পুলিশ বরখাস্ত

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
-67fbe91870ea5.jpg)
আরও পড়ুন
নাটোর আদালতের মালখানা থেকে নগদ ৬২ লাখ টাকাসহ প্রায় সোয়া কোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় দুই দিনের মধ্যেই নগদ ৬১ লাখ টাকাসহ প্রায় সোয়া কোটি টাকার গহনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার নাটোর কোর্ট পুলিশের পরিদদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, আদালতের মালখানায় চুরির ঘটনায় শুক্রবার উপপরিদর্শক এনামুল হোসেন (মালখানার তদারক কর্মকর্তা) ও কনস্টেবল আশরাফুল ইসলামকে (মালখানার পাহারাদার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ আসামিকে এ পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুরির ঘটনার পর নাটোর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলা করেন। মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মালখানার গ্রিল কেটে নগদ ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ২০ লাখ টাকার সোনার গহনা, ৪২ লাখ টাকার রুপার গহনা এবং ১০ লাখ টাকার মোবাইল সেট ছাড়াও মালখানায় জব্দ করে রাখা দেড় কেজি হেরোইন ও ৫ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা চুরির অভিযোগ করেন।
রোববার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাব্বির হোসেন জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেন। সাব্বির হোসেন আদালত পুলিশের বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে মালামাল ও কাগজপত্র আনা-নেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন।
তিনি আদালতে জানান, বৃহস্পতিবার আদালতের কম্পিউটার অপারেটর সিপাহী আল আমিন (চুরির পর বরখাস্ত), পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাশেদ মাহমুদ এবং তিনি মিলে চুরির পরিকল্পনা করেন। মালখানার হিসাব রাখার দায়িত্বে থাকায় তিনি জানতেন, সেখানে কোথায় কী রাখা আছে। অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে রাশেদ মাহমুদ মালখানা থেকে মামলার আলামত বের করার কাজে অভিজ্ঞ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তারা মালখানায় ঢুকে মালামাল চুরি করেন। চোরাই মালের কিছু অংশ তারা মালখানার পেছনের পুকুরের গর্তে লুকিয়ে রাখেন এবং বাকি অংশ সিপাহী আল আমিনের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ির উপজেলার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, সাব্বির হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাতে আল আমিনের গোদাগাড়ির ভাড়া বাড়ি থেকে ৩৬ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মোট টাকার পরিমাণ ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া চুরি হওয়া প্রায় ৪২ লাখ টাকার রুপা ও ২০ লাখ টাকার সোনার গহনাও উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান ও তদন্ত চলছে।