
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
ট্রলারের তেল চুরির অপবাদ দিয়ে শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

আরও পড়ুন
কক্সবাজারে মাছ ধরার একটি ট্রলারের তেল চুরির অপরাধে একজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। অপবাদ দিয়ে জোর করে তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
গত ২২ মার্চ রাতে কক্সবাজার জেলার খোরশকুল নুন্নারছড়া এলাকার নদীর তীরে
এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মো. হোসেন (৫৫) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের
চর আফজল গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। মুক্তি পেয়ে রামগতি এসে সম্প্রতি সাংবাদিকদের
এ তথ্য জানান তিনি।
অভিযুক্ত ট্রলার মালিক মো. সোহেল কক্সবাজারের নুন্নারছড়া এলাকার বাসিন্দা।
তিনি ওই এলাকায় সোহেল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী হোসেন জানান, ৯ মাস আগে সোহেল কোম্পানির একটি ট্রলারের ইঞ্জিন
মিস্ত্রি হিসেবে কাজ নেন তিনি। ৯ মাস কাজের বিপরীতে দুই লাখ টাকা দেওয়া কথা। চুক্তি
অনুযায়ী, সাড়ে সাত মাস কাজ শেষে সোহেল তাকে এক লাখ টাকা দেয়।
গত ২২ মার্চ রাতে ট্রলারের তেল চুরির অপবাদ দিয়ে সোহেল ও তার লোকজন হোসেনক
রশি দিয়ে বেধে মারধর করে। একপর্যায়ে মুক্তিপণ হিসেবে তার থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
দাবি অনুযায়ী টাকা না পেলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে পূর্ব পরিচিত
এক ট্রলার মালিকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন হোসেন। পাশাপাশি বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের
সদস্যদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টানা আনান। বেতনের পাওনার ৩০ হাজার, বিকাশের মাধ্যমে আনা
৫০ হাজার ও নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান হোসেন। পরে বাড়িতে ফিরে দীর্ঘদিন অসুস্থ
থাকার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এসে ঘটনাটি খুলে বলেন তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে খবর পাওয়ার পর আমার স্ত্রী সুদে
টাকা নিয়ে বিকাশে পাঠিয়েছে। গেল ঈদে পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারেননি। পরিবারে একমাত্র
উপার্জনকারী আমি। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে
কোনো কাজ করতে পারছি না।’ এ সময় টাকাগুলো ফেরত পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা
করেন হোসেন।
বিকাশে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ট্রলার মালিক সোহেল কোম্পানি
বলেন, ‘তেল চুরির সময় হোসেনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এর আগেও একাধিকবার চুরি করে তেল বিক্রি করার কথা স্বীকার করে সে। যে
কারণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছি।’
তবে হোসেনকে মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেন সোহেল।
এ বিষয়ে রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’