
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
ছাগলের ঘাস খাওয়া নিয়ে দুই গ্রামে মারামারি, আহত ১৫

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম

আরও পড়ুন
কুমিল্লার মুরাদনগরে কৃষি জমিতে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কুড়াখাল গ্রামের করম আলী সরকারের ছেলে কামরুল হাসান ওরফে সেলিম সরকার (৬২), তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজল (৩১), একই গ্রামের আলম, সিয়াম, বশির ও ইমরান এবং দিঘীরপাড় গ্রামের ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি (৩৫), কাজী ইসমাইলের ছেলে হৃদয় কাজী (২৩), কাজী আহম্মদের ছেলে জুয়েল কাজী (২৩), মুনাফ মুন্সির ছেলে বশির মুন্সি (২৮)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান ওরফে সেলিম সরকার কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলের জমিতে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। এ সময় পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় গ্রামের সজীব মুন্সি তার জমির ঘাস ছাগল দিয়ে খাওয়ানো এবং কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে কামরুল হাসানকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় কামরুল হাসানকে বাঁচাতে তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সজীব মুন্সি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিঘীরপাড় গ্রাম থেকে লোকজন ডেকে আনেন।
পরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। এতে গুরুতর আহত হয় কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান তার ছেলে হৃদয় সরকার কজল, আলম ও সিয়াম।
মারধরের শিকার কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার বিকালে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে বিলের ফাঁকা জমিতে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। এ সময় সজীব মুন্সী তাকে মিথ্যা ঘাস চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে। সজীব এতেও শান্ত না হয়ে তার গ্রামের লোকজনকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে পুনরায় কামরুল হাসান তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ তাকে উদ্ধার করতে আসা তার গ্রামের অন্য চারজনকে বেধড়ক মারধর করে।
অভিযুক্ত সজীব মুন্সী বলেন, আমি বিলে একটি ঘাস খেত করেছি। প্রায় প্রতিদিনই আমার অজান্তে ওই ঘাস ক্ষেত থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যাওয়া হতো। শুক্রবার বিকালে আমি ঘাস খেত দেখতে গিয়ে দেখি কামরুল হাসান প্রায় ১০ থেকে ১২টি ছাগল দিয়ে আমার জমিতে ঘাস খাওয়াচ্ছে। আমি তাকে বাধা দিলে, সে তার বাড়ি থেকে লোকজন ডেকে এনে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। পরে আমি নিজেকে বাঁচাতে আমার বাড়ির লোকজন ডেকে এনে তাদেরকে প্রতিহত করেছি। এ ঘটনা আমাদের পক্ষ থেকেও চারজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, কুড়াখাল গ্রামে মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। কি নিয়ে মারামারি হয়েছে, তা এখনো জানতে পারিনি। তবে ভুক্তভোগী যারা রয়েছেন, তারা অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।