
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্যের জমি দখলের অভিযোগ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম

আরও পড়ুন
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও তারা মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। একইসঙ্গে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি উপজেরার তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামের। ভুক্তভোগী সাবেক সেনা
সদস্য মতিউর রহমান ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। আর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মনির
হোসেনও (৪০) একই গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। মনির বর্তমানে পুলিশ কোয়ার্টারে ড্রাইভার
হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সাবেক সেনা সদস্য মতিউর রহমানের অভিযোগ, গত ২৫ মার্চ তার বাড়ির পাশে
৩৫ শতাংশ জমির প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের গাছপালা কেটে দখল করে নেয় মনির। খবর পেয়ে
তিনি ও তার স্বজনরা বাধা দিতে গেলে পুলিশের এ সদস্য বলেন, বাংলাদেশের কোনো থানা পুলিশ
বা ব্যক্তি আমার বিচার করতে পারবে না। ডিআইজির একটি মোবাইল ফোনই যথেষ্ট। একপর্যায়ে
মনিরের নেতৃত্বে তার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে মতিউর এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায়
অভিযোগ দিতে গেলে তারা পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অপারগতা জানায়।
মতিউর রহমান বলেন, ৫৪ বছর আগে জমিটি আমার বাবা কিনেছিল। এরপর থেকে জমিটি
আমরা ভোগদখল করে আসছি। ছয় মাস আগে থেকে মনির পুলিশ হেড কোয়ার্টারের দাপট খাটিয়ে
ওই জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকও হয়। তবে
এতে সুরাহা মিলেনি। পরে আমরা আদালতে আবেদন জানালে গাজীপুরের তৃতীয় সহকারী জজ আদালত
গত ৯ মার্চ বিবাদীর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞার
তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে মনির দিনে দুপুরে গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। মনিরের ভয়ে
বর্তমানে আমি ঘরবাড়ি ছাড়া।
অভিযোগের বিষয়ে মনির বলেন, ‘সব অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জমিটি পৈতৃকভাবে
আমাদের। জমিটি নিয়ে ছয়বার সালিশি বৈঠক হয়। সব শেষ বৈঠকে গাছ কেটে জমি ভাগাভাগি করার
সিদ্ধান্ত হয়। তাই আমার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা গাছ কেটেছেন। গাছ কাটার দিন আদালতের
নিষেধাজ্ঞার কোনো কাগজ মতিউর দেখাতে পারেনি।’
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘সেনা সদস্যের
অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। জমিজমা সংক্রান্ত
বিষয়টি যেহেতু আদালতের অধীনে তাই এ নিয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’