
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
-67fa18cf6586e.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রৌপ্যলঙ্কারের সঙ্গে অসংখ্য চিরকুট মিলেছে। সেই চিরকুটের একটিতে লেখা ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’।
চিরকুট পাওয়ার ঘটনা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বেনামি ওই চিরকুটে শুধু লেখা রয়েছে ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’।
শনিবার সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদে ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এসময় সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এবার ১১টি দানবাক্স খোলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রূপালী ব্যাংকের অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ চার শতাধিক লোক টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী এছাড়াও বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বছরের ১৭ আগস্ট দানবাক্স খোলা হয়। সে সময়ও টাকার সঙ্গে বেশ কিছু চিঠি পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি পরিচয়হীন চিঠিতে লেখাছিল- ‘আল্লাহ শেখ হাসিনাকে তুমি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও, আমিন।’ তখন ওই চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ৪ মাস ১২ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হলো। এখন মসজিদের দোতালায় টাকা গণনার কাজ চলছে।
এর আগে, সবশেষ যখন দানবাক্স খোলা হয়েছিল তখন এতে নগদ ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।
দানকরা এই অর্থ দিয়ে কী করা হবে এমনটি জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান বলেন, আপনারা জানেন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্যতম একটি জায়গা। সব ধর্মের মানুষ এখানে দান করে থাকেন। তাদের দানের অর্থ দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স করা হবে যেখানে এক সঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।