
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
গজনী মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান, ১৭ প্রাণী জব্দ

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ এএম

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ কেন্দ্রের মিনি চিড়িয়াখানায় বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অভিযান চালিয়েছে। শুক্রবার রাতের এ অভিযানে সাত প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে জব্দ করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তানভীর আহমেদ, শেরপুর
জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ
রেঞ্জার আবদুল্লাহ আল আমিন, বারিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া ও র্যাপিড রেসপন্স
বিডির সদস্যরা।
অভিযানে চারটি বনবিড়াল, পাঁচটি বানর, চারটি হরিণ, একটি করে অজগর সাপ,
গন্ধগোকুল, শিয়াল ও বাজপাখি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড়
বনে অবমুক্ত করা হয়। আর হরিণগুলোকে চিড়িয়াখানার ইজারাদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাকি
১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শেরপুর কার্যালয়
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ভেতরে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য
এ মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এটি পরিচালনা করছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তবে তিনি
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী
আটকে রেখে তা দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন।
ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি
পরিচালনা করে আসছিলাম। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না।
বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে। শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো
জব্দ করে। আমার কোনো আপত্তি নেই।