
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
স্ত্রীর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে থানায় স্বামী

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ পিএম

আরও পড়ুন
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরের ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা স্ত্রী মিতা খাতুনের লাশ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাগমারা থানায় যান স্বামী শাকিল হোসেন। পরে শাকিলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে লাশ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বাগমারা থানায় ঘটেছে এ ঘটনা।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার যোগীপাড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে মিতা খাতুন একই ইউনিয়নের ভটখালী গ্রামের শাকিল হোসেনের মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে; কিন্তু উভয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় দেড় বছর আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের সংসারে সাত মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে গত বুধবার রাতে মিতা খাতুন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রূপগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বামী শাকিল হোসেনের কাছে স্ত্রীর লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরের ভয়ে শাকিল হোসেন সরাসরি গ্রামে না গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাগমারা থানায় হাজির হন।
মিতা খাতুনের বাবা জালাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, জামাই শাকিল হোসেন সম্প্রতি রূপগঞ্জে অপর একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ে। সেই পরকীয়ার জেরে মেয়েকে হত্যা করে জানালার গ্রিলের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এ ঘটনায় তিনি হত্যা মামলা করবেন বলেও জানান।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাকিলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।