
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

আরও পড়ুন
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় তীব্র গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করেছেন তারা।
জুমার নামাজের পর উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পেদা কান্দি এলাকার দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের সামনে মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজের ইমামতি করেন স্থানীয় মাঝি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুল ইসলাম। দোয়া মোনাজাত করেন হাফেজ আফজাল হোসেন।
মোনাজাতে গরমের কারণে কৃষকের ফসল ও মানুষের জীবন যেন বিপন্ন না হয়, সেজন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
মো. নুর হোসেন দেওয়ান (৮০), মো. মোহসীন দেওয়ান (৫৯) মো. সরদার আলীসহ আরও কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে সবার মুক্তি দেবেন ইনশাআল্লাহ।
ইসতিসকার নামাজের ইমাম স্থানীয় মাঝি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুল ইসলাম বলেন, অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এখন একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা সবাই নিরুপায়। তাপপ্রবাহের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় মুসল্লিদের নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে রাসূলের (সা) সুন্নত মেনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি, তিনি যেন আমাদের পাপ মার্জনা করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে জনজীবনে প্রশান্তি ফিরিয়ে দেন।
পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষসহ কৃষি ফসলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে বৃষ্টির প্রার্থনা করেছি।