
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
পাহাড়ে উৎসবের আমেজ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৮ পিএম

আরও পড়ুন
পাহাড়ে এখন উৎসবের বন্যা। পাহাড়িদের ঘরে ঘরে শুরু হচ্ছে তিন দিনের প্রাণের উৎসব। উৎসব ঘিরে পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীগুলোর মাঝে বইছে খুশির জোয়ার। চাকমাদের ভাষায় আগামীকাল (শনিবার) ফুলবিজু। এদিন ভোরে মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে গঙ্গাজলে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন দিয়ে উদযাপিত হবে উৎসবের প্রথমদিন ‘ফুলবিজু’। এ সময় প্রার্থনা জানানো হবে অতীতের সব কষ্ট, দুঃখ, গ্লানি গঙ্গার জলে ভাসিয়ে নতুন বর্ষে বিশ্বশান্তিসহ সুখ, সমৃদ্ধি ও সাফল্য অর্জনের।
এদিন ভোরে রাঙামাটিতে সর্বজনীন ‘বিজু সাংগ্রাই বৈসু বিষু বিহু সাংক্রাই
চাংক্রান পাতা-২০২৫’ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শহরের রাজবন বিহারের পূর্বঘাটে নিবেদন
করা হবে পুষ্পাঞ্জলি। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাদের চারদিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা।
৯ এপ্রিল শুরু হয় তাদের চারদিনের এ কর্মসূচি।
প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক
উৎসবের আয়োজন করে পাহাড়ি নৃ গোষ্ঠীগুলো। এর মূল উৎসব ঘরে ঘরে পালিত হয় ১২, ১৩ ও ১৪
এপ্রিল। উৎসবটিকে ত্রিপুরা সম্প্রদায় ‘বৈসুক’ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ চাকমারা ‘বিজু’ তঞ্চঙ্গ্যারা
বিষু, রাখাইনরা চাংক্রান ও অহমিয়া জনগোষ্ঠী ‘বিহু’সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্প্রদায়
নিজেদের ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে থাকেন।
উৎসবের প্রথমদিন চাকমারা ফুলবিজু, মারমারা পাইংছোয়াই, ত্রিপুরারা হারিবৈসুক
পালন করে। দ্বিতীয় দিন চাকমারা মুলবিজু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা ও ত্রিপুরারা বৈসুকমা
পালন করে। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ বা উৎসবের তৃতীয় দিন চাকমারা
গোজ্যেপোজ্যে, মারমারা সাংগ্রাইং আপ্যাইং ও ত্রিপুরারা বিসিকাতাল নামে পালন করে থাকে।
এরপর ১৫ এপ্রিল হতে সপ্তাহব্যাপী রাঙামাটিসহ তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে মারমা সম্প্রদায়
আয়োজন করে তাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং জলোৎসব।
ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য এ আয়োজন দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের
ব্যাপক সমাগম হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে।