
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
৩ বছর পর ইউপি সদস্য পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৯ পিএম

আরও পড়ুন
২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফলে পরাজিত হন তিনি। এর জেরে আদালতে করেন মামলা। দীর্ঘ তিন বছর পর সেই মামলায় রায় পেয়েছেন ওই প্রার্থী। আইনি লড়াই শেষে ফিরে পেয়েছেন ইউপি সদস্যের পদ। ঘটনাটি রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের।
আদালতের রায়ে বিজয়ী ওই ইউপি সদস্য হলেন- মো. ফজলুল হক ছোবাহান। তিনি
ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
গত বুধবার রাজবাড়ী নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিলন আলী প্রকাশ্য
আদালতে ভোট গণনা শেষে ফজলুলকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচনে শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী মাহবুব হোসেন লিটনকে
(ফুটবল প্রতীক) ৩৭৭ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই সময় নির্বাচন কমিশন ভোট
গণনা শেষে দাবি করেন, ফজলুল হক ছোবাহান তালা প্রতীকে ৩৬৮ ভোট পেয়েছেন। আর জাহাঙ্গীর
বিশ্বাস মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮৫ ভোট।
ফলাফলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ রাজবাড়ী নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে
মামলা করেন জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। মামলায় তিনি পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। চলতি বছরের
৪ মার্চ ফজলুল এ মামলায় পক্ষ হন। বুধবার আদালতে পুনরায় ভোট গণনা হলে ফজলুল ৩৭৬ ভোট
পাওয়ায় বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারক।
ফজলুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোহাগুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘প্রকাশ্য আদালতে
গণনা করে এক হাজার ৪৭টি ব্যালট পেপারের মধ্যে এক হাজার ৪৪টি ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।
গণনাকালে ১৬টি জাল ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ওই ব্যালট পেপারগুলো হালকা সবুজ রঙের,
যা নির্বাচন কমিশন থেকে প্রদত্ত নয়। জাল ব্যালট পেপারে প্রিজাইডিং অফিসারের কোনো প্রকার
সিল- স্বাক্ষর নেই। ১৬টি জাল ব্যালট পেপারে ফুটবল প্রতীকে ভোট দেওয়া হয়েছে বলে দেখা
যায়।’
এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘ভোট গণনা শেষে ফজলুল হক তালা প্রতীকে ৩৭৬ ভোট পাওয়ায়
তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন বিচারক। গণনায় মাহবু্ব হোসেন লিটনের ফুটবল প্রতীকে
৩৫৪ ভোট পান। আর জাহাঙ্গীর হোসেনের মোরগ প্রতীকে ২৮৫ ভোট পান।’
শুক্রবার সকালে ফজলুল বলেন, ‘২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে
এলাকাবাসী আমাকে তালা প্রতীকে ভোট দিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করেন। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থী ফ্যাসিবাদের দোসর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন
লিটন নির্বাচনে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাইরে থেকে ব্যালট পেপার প্রিন্ট
করে এনে জাল ভোটের মাধ্যমে নিজেকে বিজয়ী করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়। আমি সে সময় তাকে
জাল ভোটে বাধা দিলে আমাকে ও আমার বাবাকে মারধর করা হয়। পরে আমাকে মিথ্যা মামলায় পুলিশ
দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়। আমি ফ্যাসিবাদের দোসর লিটনসহ ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত সকলের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’