
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
যৌথবাহিনীর অভিযানের ছবিতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার থাকলেও মামলায় বাদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
-67f7f81f09881.jpg)
আরও পড়ুন
কক্সবাজারের টেকনাফে হারুন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হলেও মামলা থেকে তা বাদ পড়েছে। বিষয়টি নজরে আসায় মামলার বাদীকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ মামলার বাদী কায়সার আহমেদকে ১৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আদালত আদেশে উল্লেখ করেন।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশেক ইলাহী শাহজাহান নূরী জানান, আদেশের অনুলিপি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগেই টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৩ এপ্রিল হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় ডাকাত হারুনের বাড়িতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড গুলি, ৫টি ধারালো অস্ত্র, ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি চেক বই, ১০টি সিমকার্ড ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ১৯টি পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় হারুন পালিয়ে যান।
তবে মামলার এজাহারে টাকা ও স্বর্ণের কোনো উল্লেখ না থাকায় প্রশ্ন উঠে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, কেন অর্থ ও স্বর্ণ এজাহারে নেই, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ৮ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে উঠে এসেছে, অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিওতে টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখা গেলেও মামলার নথিতে তার কোনো উল্লেখ নেই। এতে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, মামলার বাদী ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত গোপন করে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, জব্দ করা টাকা ও স্বর্ণালংকার শুল্ক বিভাগে জমা দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৭ এপ্রিল তা টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।