
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ১০ ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ কুপিয়ে প্রায় অর্ধশত জেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রলারে থাকা মাছও জালসহ রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
তবে জলদস্যু বাহিনী কুতুবদিয়া অথবা মহেশখালির হতে পারে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বড় বাইজদা এলাকায় হঠাৎ ডাকাত দল জেলেবহরে গুলি চালিয়ে হামলা করে।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানা এফবি তারেক-২, এফবি আবদুল্লা তুফান-২ ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানা এফবি মা ও এফবি রাজু। ১০টি ট্রলারের অন্তত ১৬০ জেলের মধ্যে অর্ধশত গুলিবিদ্ধ ও মারধরে আহত হয়েছেন। জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি মনির হোসেনের বরাত দিয়ে মালিক সেলিম চৌধুরী বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় জেলেরা বাধা দিলে জেলেদের ট্রলারে উঠে কুপিয়ে ও রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং গুলি ছোড়ে। ১০টি ট্রলারের অন্তত ৫০ জন জেলেকে গুলি ও কুপিয়ে আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শী অপর একাধিক ট্রলারের জেলেরা আমাদের ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তবে কোন বাহিনী এটি করেছে তাদের নাম পাওয়া যায়নি।
এফবি মা ট্রলারের মালিক সেলিম চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি, তারা নেটওয়ার্কের বাহিরে আছে। জেলেদের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত তারা কি অবস্থায় আছে বা চিকিৎসা নিতে পেরেছে কিনা- এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডাকাতি হওয়া ট্রলারগুলো সাগরে ভাসছে- এমন খবরে তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসককে জানিয়ে ভাসমান ট্রলারগুলো উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়েছে। ডাকাতি হওয়া জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।