
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ১৬০ জনের নামে মামলা

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম

আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৪৫) নামের এক যুবদল কর্মী স্পেন প্রবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবারাত ১২টায় তার বড় ভাই বিএনপির কর্মী হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে রায়পুর থানায় মামলাটি করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলায় রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার ছোট ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ১৬০ জনকে।
নিহত ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবারও চরবংশী ইউনিয়নে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
খুন, বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয়ে বুধবার রাতে রায়পুর উপজেলা বিএনপির নেতারা জরুরি বৈঠক করেন।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রাত ১১টায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহম্মদ ও সদস্যসচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করা হয়।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মেহেদী কবিরাজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবাদ উল্লাহ গাজী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিক রাঁড়ি, ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফারুক সর্দার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ফারুক গাজী প্রমুখ।
গত সোমবার বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়েন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি সাইজুদ্দিন আকন নিহতসহ অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ওই দিন বিকালে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মধ্য চরবংশী বেড়িবাঁধ ও খাসেরহাট বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতের স্বজন ও কৃষকদলের শামিম গাজির লোকজন চরবংশী গ্রামের ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হক (পিপিএম)।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকাটিতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।