
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ এএম
মান্নান আকন্দ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বগুড়ার আলোচিত শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুদক।
নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন সম্প্রতি দুদক আইন ২০০৪ সালের ২৬(২) ধারায় এ মামলা করেন।
দুদুকের পিপি এসএম আবুল কালাম আজাদ বুধবার বিকালে জানান, মামলা দুটি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দুদকের সূত্র জানায়, আবদুল মান্নান আকন্দ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মেসার্স শুকরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল মান্নান আকন্দের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ছয় কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তার ভোগদখলের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এর পরিপেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ করা হয়। নির্ধারিত সময় গত বছরের ২১ এপ্রিলের মধ্যে তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এতে তিনি দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
আবদুল মান্নান আকন্দ বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুরের মনসুর আলী আকন্দের ছেলে। বর্তমান ঠিকানা শহরের নামাজগড় এলাকায় প্রত্যাশা হাউজিং উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে আব্দুল মান্নান আকন্দের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দুই কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৭০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
এরপর দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ করা হয়। তিনিও নির্ধারিত সময় গত বছরের ২১ এপ্রিলের মধ্যে তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এতে তিনি দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন জানান, আবদুল মান্নান আকন্দ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিতে দুই দফায় ২১ ও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়; কিন্তু তারা নোটিশ করার ৩৬ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেয়নি। এতে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ সালের ২৬(২) ধারায় পৃথক মামলা করেছেন। পরবর্তীতে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধারায় মামলা করা হবে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা ও জনরোষের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন। ফোন বন্ধ রাখায় এসব ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।