
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
ছাবু মিয়া হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

আরও পড়ুন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছাবু মিয়া হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে এ রায় দেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক একেএম কামাল উদ্দিন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল মৌলার ছেলে আবুল, বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান, মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান ও মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ। রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পেশকার তপন শীল জানান, মামলায় মোট ৫ জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। মামলার অপর আসামি মারাজ মিয়া মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে রায়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লেখিত রায় দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম বজলুল আমীন বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। আমি মনে করি এ রায় একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মামলার বাদী নিহত ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে এখন দ্রুত আসামিদের রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের ছাবু মিয়ার প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগমকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ২০০৭ সালের মাঝামাঝির দিকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন প্রতিবেশী এমরান মিয়া। এরপর ছাবু মিয়াও আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাবু মিয়াকে ডেকে নিয়ে যান এমরান, সোলেমান ও আবুল। এরপর থেকে তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরদিন ১৪ এপ্রিল গ্রামের হাওড়ে ছাবু মিয়ার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হাফিজ মিয়া। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৬ বছর পর এ রায় দেন।