
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
সরকারি চাকরি হওয়ার পর অস্বীকার, স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

আরও পড়ুন
নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে মৌসুমি খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী সোহেল রানা চয়ন নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। করেছেন দীর্ঘ দুই বছর সংসার। এরই মধ্যে সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন সোহেল রানা। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী মৌসুমি খাতুন শহরের কোমাইগাড়া মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন শহরের কোর্ট চত্বর এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাঁপানিয়া-বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমি খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন। প্রায়ই মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হতো।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে তার পরিবারের কু-পরামর্শে আবারও নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেন। তার কিছুদিন পরে আবারও যোগাযোগ করে এবং তার ভুল স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়। চাকরি পেলে আলাদাভাবে সংসার করবে মর্মে আমার ফুফু ও বোনের বাসায় আমার সঙ্গে গোপনে সংসার করে এবং বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে।
মৌসুমি খাতুন বলেন, এভাবে এক বছর সংসার করি। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে। একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে দেই। চাকরি পাওয়ার পর জানতে পারি সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানায়।
ওই নারী বলেন, এ পর্যন্ত তাকে ৭ লাখ টাকার মতো দিয়েছি। স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে কোনো উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দুটি মামলা করেছি; কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে- এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে। এখন আদালতের মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।