
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
স্কুলের খেলার মাঠ দখল করে কলাগাছ রোপণের অভিযোগ

কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

আরও পড়ুন
মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে অর্ধশতাধিক কলাগাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ঘটনাটি কালকিনি উপজেলার ভাটোবালী আবদুর রহমান মোল্লা বিদ্যাপিঠের।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে একটি পক্ষ ওই কলাগাছ লাগিয়েছে। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত। তার দাবি, কলা গাছ লাগানো জায়গা তার নিজের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠটি ব্যবহার করছেন তারা। প্রতিদিন মাঠটিতে খেলাধুলা করে আসছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হতো শরীর চর্চাও। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে একই এলাকার আয়নাল আকন, দেলোয়ার আকন, দাদন আকন, লালমিয়া আকন মিলে গত শুক্রবার বিদ্যালয়ের ওই খেলার মাঠ দখল করে। সেখানে অর্ধশতাধিক কলাগাছের চারা জোর করে লাগায় তারা। এ সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বাধা দিলে তার হুমকি দেয়। পরে এ ঘটনায় কালকিনি থানায় অভিযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়টির দাতা সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বহু বছর আগে স্কুলের নামে আমরা জমি দিয়েছি। স্কুলের দেখভাল আমরাই করতেছি। খেলাধুলার পাশাপাশি সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর আমরা জানতে পারি স্কুলের কিছু মাঠের জমি গোপনে রেকর্ড করে নিয়ে গেছে আয়নাল আকনরা।’
স্থানীয় বাসিন্দা মীরজালি মোল্লা, শুকুর মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘এত বছর কোনো সমস্যার কথা কানে শুনিনি। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আয়নাল আকনরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা জোর করে স্কুলের মাঠে কলা গাছ লাগিয়েছে।’
বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী মিবহাজুল, রেজাউল, রনি, জিহাদ, তাসিন রহমান ও শাহিন মোল্লা বলেন, ‘মাঠে কলাগাছ লাগানোয় আমাদের খেলাধুলার পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। আমরা দখলমুক্ত মাঠ দেখতে চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে আয়নাল আকনের ভাই আহছান আকন বলেন, ‘আমাদের জমিতে আমরা কলাগাছ লাগিয়েছি। জমির কাগজ আমাদের নামে।’
প্রধান শিক্ষক কাজল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘আমরা দূরের লোক। চাকরির জন্য এখানে আছি। ওই বিষয়ে কথা বললে আমাদের ওপর হুমকি আসে।’
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবা ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমরা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে আইনগত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।’