
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

আরও পড়ুন
ভৈরবে মসজিদ কমিটি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হন ২৫ জন। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শহরের চন্ডিবের এলাকায়।
খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। এরা হলো- চাঁদ মোল্লা, জুয়েল মিয়া ও রাফি।
সংঘর্ষের সময় যারা আহত হয় তারা হলো- সোলাইমান ( ৩০), সাকিব (২৩), রাব্বি (২০), ইমন মিয়া (৩৫), মুছা মিয়া (২৬), রাতুল (১৮), শ্রাবন (২৪), অলি মিয়া (৪০), ইয়াছিন (২২), সামি (১৪), সোহাগ (১৯), আল-আমিন (৩২), সাজ্জাদ (২৯), সিয়াম (২৩), রায়হান (৩৪), বাদশা (৩১), প্রিয়াংকা (১২), জনি (৩৮)।
আহতদের মধ্যে সোলাইমানকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও অলিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্ডিবের মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মধ্যবর্তী একটি মসজিদ রয়েছে। উক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন মোল্লা বাড়ির মিজান মোল্লা। ৫ বছর পর গত সোমবার নতুন কমিটি গঠন করতে বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ সময় কমিটি গঠন নিয়ে হট্টগোল তর্কবিতর্ক শুরু হয় দুইপক্ষের মধ্যে। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হলে কয়েকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করে একপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ মীমাংসায় বসে। বিষয়টি মীমাংসা করতে না পেরে সন্ধ্যায় ঝগড়া শুরু হয়।
রাত ৯টায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠে নামে। এ সংঘর্ষ মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
মীর বাড়ির জাকির জানান, আমাদের বাড়ির মসজিদে মোল্লা বাড়ির লোক সভাপতি থাকবে কেন। তারা কাজি বাড়ির লোক এক হয়ে আমাদের মসজিদের সভাপতি হতে চায়; যা আমরা মানতে রাজি না।
এ বিষয়ে কাজি বাড়ির সাকিব জানান, মসজিদটি মীর বাড়ির হলেও কাজি বাড়ির কমিটিকে ওয়াকফা করে দেওয়া হয়। এখন মীর বাড়ির লোকজন নিজদের মতো কমিটি করতে চায়। আমরা সমন্বয় করে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু তারা না মেনে সংঘর্ষে নামে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল করিম জানান, মঙ্গলবার রাতে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন আহত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।