
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
লক্ষ্মীপুরে বিরল প্রজাতির ৬ গুইসাপ উদ্ধার

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ এএম

আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর বেড়িবাঁধ থেকে ধরা বিরল প্রজাতির ছয়টি গুইসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তিনজনকে জরিমানা করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া গুইসাপগুলো বেড়িবাঁধ এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।
অবমুক্ত করা গুইসাপগুলো রামগাদি প্রজাতির। এর বৈজ্ঞানিক নাম ভারানাস
স্যালভেটর। অবমুক্ত করা গুইসাপগুলোর প্রতিটি ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি ও লম্বা ৫ থেকে ৬ ফুট।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন- খাগড়াছড়ির দিঘীনালার নৈয়াপাড়া গ্রামের নিখিল,
অতিন্দ্র ও তিমিট ত্রিপুরা।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায়
সাদা বক ও মানুষের হাঁস-মুরগি আসে। সেখানে মাছের খামারও রয়েছে। খাবার সন্ধানে বেড়িবাঁধ
এলাকায় আসে গুইসাপগুলো। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর হাঁস-মুরগির উড়াউড়ি দেখে
বেড়িবাঁধের পাশে অবস্থিত খাল পাড়ে যায়। সেখানে তারা দেখতে পান তিনজন লোক গুইসাপগুলো
ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।
রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, গোপন খবরে উত্তর হামছাদী
ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযোন চালানো হয়। এ সময় ছয়টি গুইসাপসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বন্যপ্রাণী শিকার করার অপরাধে তিনজনকে এক হাজার করে টাকা করে
জারিমানা করেন সদরের ইউএনও জামশেদ আলম রানা। পরে গুইসাপগুলো পুনরায় অবমুক্ত করা হয়।
রায়পুরের প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘গুইসাপ পরিবেশ
বান্ধব ও মানুষের জন্য অনেক উপকারী। গুইসাপ ময়লা, বিষাক্ত পোকা-মাকড়, ইঁদুর ও বিষাক্ত
সাপ খেয়ে বেঁচে থাকে। এতে মানুষ অনেকটা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। মানুষ না বুঝে এটিকে
নির্বিচারে হত্যা করে ফেলে। আবার অনেকে গুইসাপ মেরে চামড়া বিক্রি করে দেন। এছাড়া ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন প্রাণীটির মাংস খায়।’
স্থানীয় প্রবীণ ব্যাক্তি আবদুল হামিদ বলেন, অবমুক্ত করা গুইসাপগুলো দেখতে
তামাটে লালচে বর্ণের। এ ধরণের গুইসাপ সচারচর আমাদের এলাকায় দেখা যায় না।’