
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
সিলেটে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটে সর্বমহলে ক্ষোভ, গ্রেফতার ১৭

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ এএম
-67f5776c2b319.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনে বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে নগরীর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সর্বমহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। দাবি তুলেছেন, নগরীতে বিভিন্ন সময়ে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগে এমন অপকর্ম ঘটিয়ে আসা আড়ালের চক্রকে চিহ্নিত করার। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা থানায় মামলাও করেছেন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৭ জনকে।
ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলের সময় সুযোগসন্ধানী কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স।
হামলা, লুটপাটে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রয়েল মার্ক হোটেল, কেএফসি, বাটাসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন চেম্বার নেতৃবৃন্দ। এসময় ব্যবসায়ী নেতাদের নেতৃত্ব দেন চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু ও সিলেট চেম্বারের পরিচালকবৃন্দ।
এসময় চেম্বার সভাপতি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এবং এসব প্রতিষ্ঠানে হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ঘৃণিত ও ন্যক্কারজনক কাজ। তিনি নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও রয়েল মার্ক হোটেলের পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের পরিচালক কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আকতার হোসেন খান, মোহাম্মদ সহিদুল হক প্রমুখ।
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএমসিসিআই) নেতৃবৃন্দ গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খায়রুল হোসেন, ১ম সহ সভাপতি মো. ফেরদৌস আলম, কোষাধ্যক্ষ মো. জহির হোসেন, পরিচালক মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুর রহমান রিপন, তোফায়েল আহমেদ লিমন, দিলওয়ার হোসেইন, শাব্বির আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সচিব নিয়াজ মো. আজিজুল করিম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এ সময় চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, দুঃখজনক হলে সত্য একটি দুস্কৃতিকারী চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠাতা হামলা-লুটপাট ভাঙচুর করেছে। গভীর তদন্তের মাধ্যমে এই চক্রকে চিহ্নিত ও গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখা ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাসী দখলদার ইসরাইল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার মহাসচিব ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সচিব ও হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. আজিজুল করিমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, এসএমপি সিলেটের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম, কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক, মধুবন সুপার মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী আকিক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি আব্দুল মুনিম মল্লিক মুন্না, যুগ্ম সাংগঠনিক সচিব মীর মুহাম্মদ জাকারিয়া, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম সুমন, হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান, সিটি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রজব, মধুবন সুপার মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর আহমদ, কুমারপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাহিদুর রহমান, ট্রেড সেন্টার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সাদ মিয়া, হাসান মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক সাহেদ বকস, মধুবন সুপার মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ রিয়াদ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমদ, প্রচার সম্পাদক জিল্লু আহমদ, শুকরিয়া আধুনিক বিপনী কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আহমেদ ফুয়াদ বিন রশিদ, সাধারণ সম্পাদক রুপম খান, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সাবুল মিয়া, নয়াসড়ক ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ, বায়তুল আমান জামে মসজিদের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান খান, ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, বিএনপি নেতা মাসুক আহমদ। এছাড়াও সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সম্প্রীতির সিলেটকে অশান্ত করতে একটি মহল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা হামলা-লুটপাট করেছে ভিডিও ফুটেজে তা স্পষ্ট। তাদের গ্রেফতার করতে সিলেটের পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিবাদসভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যায় আমাদেরও কলিজায় আঘাত এনেছে। আমরাও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি দুষ্কৃতকারী চক্র সিলেট নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠাতা হামলা-লুটপাট ভাংচুর করেছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এ ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী এ দাবি জানান। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, তৌহিদী জনতার ব্যানারে মিছিল বের করে কতিপয় দুর্বৃত্তরা নগরীর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এসব দুর্বৃত্তরা কোনোভাবেই তৌহিদী জনতার কাতারে পড়ে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, কারও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাকে ইসলাম সমর্থন করে না। ভাঙচুরকৃত সকল প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এসব সিসি ক্যামেরার ভিডিও ও ছবি দেখে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িতদের চিহ্নিত অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে একটা গোষ্ঠী মব সৃষ্টির মাধ্যমে ধর্মীয় সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান।
হোটেল রয়েল মার্কসহ নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান, ছাতক উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, সিলেটের দীর্ঘদিনের সম্প্রীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সিলেটবাসী হতবাক। এর সাথে জড়িতরা কোনভাবেই তৌহিদী জনতা হতে পারে না। এরা দুর্বৃত্ত। এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিক্ষোভের নাম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সোমবার মিছিল থেকে কতিপয় দুর্বৃত্ত দফায় দফায় আমাদের রয়েল মার্ক হোটেলে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট-কফি শপে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। হোটেলের রিসিপশনে থাকা কাউন্টার, ডেস্কটপ, ল্যাপটপসহ সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় হোটেলের ক্যাশে থাকা ১ লক্ষ ৮৪ হাজার নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। হোটেলের লিফট, জেনারেটর, সাব স্টেশন, নিচ থেকে ৬ তলা পর্যন্ত লাইটিং ভাঙচুর করা হয়েছে। হোটেলের থাকা ছোপড়া রেস্টুরেন্টকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। হোটেলের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ক্রিমস কফি শপেও ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। পুণ্যভূমি সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্বৃত্তপনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দল সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা ব্যবসায়ী দলের সভাপতি সোয়েব আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চঞ্চল এবং সিলেট মহানগর ব্যবসায়ীদলের সভাপতি শামীম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে দুষ্কৃতকারীরা গত সোমবার সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, আমরা ইসরাইলের পণ্য বর্জন করব, সবাইকে বর্জনে উৎসাহিত করব। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে- সবাইকে বুঝিয়ে বলা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পণ্য লুটপাট করা নয়। এই কাজ যারা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতা নিয়ে আসা হবে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুবের আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার এবং মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসানের যৌথ পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রয়্যাল মার্ক হোটেলের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আবদুল মতিন সরকার হামলা ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম জানান, মামলার অভিযোগে হোটেলের ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার বাদী আবদুল মতিন সরকার বলেন, হামলাকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে। হামলার সময় হামলাকারীরা মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশাপাশি হামলা ও ভাঙচুরের সময় তারা গুলতি, হাতুড়ি ও শাবল ব্যবহার করেছেন। গুলতি দিয়ে সড়ক থেকে তাদের ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত কাচ ভাঙচুর করা হয়।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি হামলা ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল সিলেট। বিক্ষোভের সময় কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্ট, রয়েলমার্ক, আলপাইন রেস্তোরাঁসহ প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।