
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
প্রবাসীর ছেলেকে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ পিএম

আরও পড়ুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতেই সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নিজেদের ‘ডিজিএফআই’এর সদস্য পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পরদিন পরিবারের কাছে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১০-১২ জনের একটি দল হায়েস গাড়িতে করে এসে প্রথমে প্রধান ফটকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে একজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে গেট খুলে দিলে বাকিরা প্রবেশ করে বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার আঁচ পেয়ে শহিদুল ইসলাম দ্রুত নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং এলাকায় মাইকিং করার অনুরোধ করেন। তবে ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে তারা ব্যর্থ হয়। পুলিশের সামনেই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং রিফাতকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
রাত ৩টার দিকে অপহরণকারীরা শহিদুল ইসলামের ফোনে কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ‘ডিজিএফআই’এর সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি- কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাধা দেয়নি। এখন আমার ছেলের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মো. কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক জানান, অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।