
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৫ এএম
সড়কে পড়ে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসলেন ডিসি

যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ পিএম

আরও পড়ুন
মোটরসাইকেলচাপায় আহত হয়ে দুই দিন ধরে সড়কে পড়ে থাকা এক বাক-শক্তিহীন মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নির্দেশে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের তদারকিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই প্রতিবন্ধীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাহিরপুরের বাদাঘাটের ঘাগটিয়া চক বাজার সড়কের পাশে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধীর শরীরের ওপর দিয়ে তিন আরোহী বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায়। সড়কের পাশে আহত হয়ে কাতরাতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় বাজারের পল্লি চিকিৎসক ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিলেও পরদিন শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সড়কের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই প্রতিবন্ধী।
এলাকাবাসী দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদকে প্রতিবন্ধীর আহত হওয়ার ঘটনাটি অবহিত করেন।
এরপর দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাক-শক্তিহীন মানসিক প্রতিবন্ধীর আহত অবস্থায় একটি ভিডিও চিত্র পোস্ট করেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দেশ বিদেশে থাকা অর্ধ লক্ষাধিক নেটিজেনরা সেই ভিডিও চিত্র দেখে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসাসেবার আহ্বান জানান। ভিডিও চিত্রটি নজরে আসে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের। এরপর তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে আহত প্রতিবন্ধীর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ঘাগটিয়া গ্রামের যুবক রুবেল, চক বাজারের ব্যবসায়ী মহল এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, তাহিরপুরের ইউএনও, দৈনিক যুগান্তর পরিবার ও যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, গত ১৭ থেকে ২০ বছর ধরে নাম-পরিচয়হীন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক গ্রামের ঘাগটিয়া চক বাজারে অবস্থান করছিলেন। এলাকার সব মহল তিন মোটরসাইকেল আরোহীদের এমন বেপরোয়াপনায় মানসিক প্রতিবন্ধীকে আহত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর অনেকটা শঙ্কামুক্ত ওই প্রতিবন্ধী যুবক।