
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ এএম
খবর ছড়ায় মদপানে ২ জন মারা গেছেন, পরিবারের দাবি স্বাভাবিক মৃত্যু

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম

আরও পড়ুন
রাজশাহীর চারঘাটে একই দিনে একই সময়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। মৃত দুই পরিবারের দাবি পেটের যন্ত্রণায় স্বাভাবিকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, বিষাক্ত মদপানে মারা গেছেন দুই যুবক। অন্যদিকে হাসপাতালে একজনের হার্ট ফেইলরের কারণে মারা যাওয়ার তথ্য লেখা থাকলেও অন্যজনের হাসপাতালের কোনো তথ্য নেই। ফলে মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন।
পুলিশের দাবি- মদপানে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দুইজনের শরীরে মদপানের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ফলে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে অন্তর ওরফে নাদিম (২৮) ও একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানার (৩২) মৃত্যু হয়।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আমরা সংবাদ পাই যে নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে ২ ব্যক্তি বিষাক্ত মদপানে মারা গেছেন। আহত অবস্থায় রয়েছেন আরও ১ ব্যক্তি। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের তথ্যের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই দুই মৃত ব্যক্তির আশপাশের প্রতিবেশীদের দাবি তারা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে মৃত দুই ব্যক্তির শরীরে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর কোনো আলামত লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার দিনগত রাতে একই এলাকার অন্তর ওরফে নাদিম, মাসুদ রানাসহ ৪-৫ জন বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান অন্তর ওরফে নাদিম। আর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুদ রানা।
এ খবর জানতে পেরে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন। পরে এলাকাবাসী ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে লাশ দাফনের অনুমতি দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, মৃত ব্যক্তি ও আশপাশের প্রতিবেশীদের দাবি তারা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন। তেমন কোনো তথ্য না পাওয়ায় পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাদের মৃত্যু স্বাভাবিক।