
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
২৪ বছর পর শিক্ষকতায় ফিরলেন কাউছার ভূঁইয়া

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১০ পিএম
-67f40715b0c8d.jpg)
নিজের বাড়ি থেকে কাঠ বাঁশ সংগ্রহ করে দিনরাত কষ্ট করে গড়ে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৪ বছর ধরে নির্বাসিত ছিলেন কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া নামে এক শিক্ষক। অবশেষে প্রতীক্ষা ও বঞ্চনার অবসান হলো।
সোমবার (৭ এপ্রিল) তার দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মোতাবেক তিনি শিক্ষক হজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন।
কাউছার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লড়য়া কেরামতিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। এ সময় মাদ্রাসার সুপার তাকে ফুল ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেন। ওই মাদ্রাসায় তিনি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন।
কাউছার আহমেদ জানান, ১৯৯৩ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তিনি সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন; কিন্তু তৎকালীন মাদ্রাসা সুপার অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের জেরে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদী হওয়ায় মাদ্রাসা সুপার ২০০২ সাল থেকে তার বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিনি ১/১১ সময়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন এবং প্রতিকার না পেয়ে তিনি চাঁদপুর দেওয়ানি আদালতে (১১/২০১০) মামলা দায়ের করেন। আদালত তাকে বেতন-ভাতাদিসহ স্বপদে বহাল করার নিদের্শনা দেন।
পরে সেটা সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বহাল থাকে। একইভাবে মাউশিও চিঠি দিয়ে কাউছার আহমেদকে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের নিদের্শনা দেন।
অবশেষে গত ১৩ মার্চ মাদ্রাসার সভাপতি ইউএনও সুলতানা রাজিয়া মাদ্রাসায় সভা করে কাউছার ভূঁইয়াকে মাদ্রাসায় যোগদান নিশ্চিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং শ্রেণি শিক্ষা নেন।
ক্লাসে ফিরতে পেরে নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে অভিহিত করে কাউছার আহমেদ বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে বিলিয়ে দেব।