
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
ছুরিকাঘাতে আইনজীবী নিহত, ফুচকার দোকান গুঁড়িয়ে দিলেন আইনজীবীরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
মৌলভীবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া (৩৮)। তাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন মৌলভীবাজারের আইনজীবীরা।
সোমবার সকালে আদালত বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। দুপুরে জেলা জজ আদালত থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের চৌমুহনা ঘুরে পৌরসভার সামনে আসে। সেখানে সংক্ষুব্ধ আইনজীবীরা ফুচকার দোকান ভাঙচুর করেন।
অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া (৩৮) মৌলভীবাজার পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌর শহরের জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের সরকারি বাসভবনের সামনে ৫-৬ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সুজন মিয়া। পৌরসভা ভবনের সামনে ফুচকার দোকানের সামনে আইনজীবী হত্যার ঘটনা ঘটে।
মূলত ফুচকার দোকানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাংকে বিভিন্ন সময় বাহিনী নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় এবং তারা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দিতেও দেখা যায়। আইনজীবীদের দাবি কিশোর গ্যাংয়ের দুর্বৃত্তরা সুজন মিয়াকে হত্যা করে পালিয়েছে।
মৌলভীবাজার জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রউফ বলেন, অ্যাডভোকেট সুজন মিয়াকে পৌর শহরের ফুচকার দোকানে আড্ডা দেওয়া দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি- রাস্তার পাশে অবৈধ গড়ে উঠা ফুচকার দোকান, যারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করে আড্ডার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। আমাদের সহকর্মী সুজন মিয়ার খুনিদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় মৌলভীবাজারের আইনজীবীরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। আগামীতে এই সমস্ত অহেতুক আড্ডা, মাদকবাজি, মাদক ব্যবসা, ফুচকার ব্যবসা, অস্বাস্থ্যকর এই খাদ্য আমাদের ছাত্রসমাজ, জনসমাজকে যেন পরিবেশন না করা হয় সেই বিষয়টি প্রশাসন, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।
জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নিয়ামুল হক বলেন, রোববার রাতে এই ফুচকার দোকানে দুর্বৃত্তরা সহকর্মীকে নির্মমভাবে খুন করেছে। আমরা প্রশাসনকে বার্তা দিতে চাই আমাদের আলটিমেটামের মধ্যে প্রশাসন খুনিদের গ্রেফতার করবে। জনসম্মুখে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, প্রশাসন চাইলে আসামিদের দ্রুত খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে পারবে। যদি আমাদের আলটিমেটামের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হয় আমরা আজকে আদালত বর্জন করেছি প্রয়োজনে লাগাতার কোর্ট বর্জন করব। আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। হত্যার মোটিভ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।