
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৪ এএম
চাকরির প্রলোভনে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

যুগান্তর প্রতিবেদন,বরগুনা
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

আরও পড়ুন
অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার বরগুনার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ফাতেমা আকতার তামান্না। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার একমাত্র আসামি মলয় মন্ডল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দেবগ্রামের
বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাকচিড়া বাজার
শাখার সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার বাদী তামান্না বরিশাল বিএম কলেজে পড়েন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মলয় মন্ডল বরগুনা জেলার তালতলী অগ্রণী ব্যাংকে
কর্মরত থাকা অবস্থায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. জহিরুল ইসলাম খানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জহিরুলের
তালতলী শহরে ওষুধের দোকান রয়েছে। গোপালগঞ্জ বাড়ি ও সরকারি অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদরে সঙ্গে সখ্যতা আছে এমনটা জহিরুলকে বিশ্বাস করান মলয় মন্ডল।
তামান্নাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন বারে ১৫ লাখ টাকা নেন ব্যাংকের এ কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বদলি হয়ে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া শাখায় যোগদান
করেন মলয় মন্ডল। এরপর বাদী ও তার বাবা ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বার
বার বলতেন, কিছু দিনের মধ্যে চাকরির ইন্টারভিউ কার্ড পাবে। আর ইন্টারভিউ দেওয়া হলে
নিয়োগপত্র পাবেন। চূড়ান্ত তালিকা হয়েছে।
৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর মলয় মন্ডল বাদী ও তার বাবাকে বলেন, আপনারা তো
বুঝতে পারছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই। চাকরি একটু দেরি হবে। বাদীর বাবা দীর্ঘদিন অপেক্ষা
করার পরে মলয় মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে জহিরুল টাকা
ফেরত চাইলে তিনি সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে বাদী মলয় মন্ডলের নিকট টাকা চেয়ে লিগ্যাল
নোটিশ দেয়।
চলতি বছরের ১ মার্চ মলয় মন্ডল বরগুনা আসলে জহিরুলের সঙ্গে দেখা হয়। তখন
তিনি টাকা ফেরত চাইলে মলয় মন্ডল টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
বাদী বলেন, ‘আমার বাবার তালতলী শহরে ওষুধের বড় ব্যবসা ছিল। সব কিছু শেষ
করে মলয় মন্ডলকে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। তাকে গোপালগঞ্জের লোক দেখে বাবা বিশ্বাস করেছেন।’
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মলয় মন্ডল বলেন,
‘আমি ওই নারীকে চিনি না।’ অনেকক্ষণ পরে তিনি বলেন, ‘আমি যখন তালতলী শাখায় চাকরি করেছি
তখন বাদীর বাবাকে চিনতাম। মামলা হয়েছে মামলায় কনটেস্ট করব।’