সুনামগঞ্জে বিকল্প কমিটি গঠনের হুশিয়ারি বিএনপি নেতাদের

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি ও তাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পদ বঞ্চিত জেলার তুণমূলের ত্যাগী, নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। সুনামগঞ্জে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নাম ও মহল্লার লোকজনকে একাধিক পদ পাইয়ে দেওয়ায় ওই কমিটিকে  লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ সকল ইউনিট কমিটিসহ জেলা কমিটি স্থগিত করা না হলে বিকল্প জেলা কমিটি গঠনের হুশিয়ারি দেন তারা।  

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে শহিদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উপস্থাপন করেন জেলার পদবঞ্চিত নেতারা। 

নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলনে ৪০০ গজের মধ্যে আন্দোলন করা কমিটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ৪ নভেম্বর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বোকা বানিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ৩২ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা স্হান পায় নি। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা স্হান পেয়েছে। 

পৌর বিএনপি কমিটির ২১ সদস্যের ৬ জনই জেলা বিএনপির সদস্য এবং ১১ জন ৪০০ গজের মধ্যে বসবাসকারী। ৮ জন সদস্য ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কমিটির ১০নং সদস্য পরীক্ষিত দলছুট নেতা। বিগত দিনে তারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারা সেই আশ্বাস রাখতে পারেন নি। নিজেদের মধ্যে থেকে ইচ্ছেমত কমিটি গঠন করেছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন। অপরিপক্ক ও অপরিচিত মুখকে দলের নেতা বানিয়েছেন। 

অভিযোগ করেন, পদ পেতে আবেদনের সঙ্গে নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিটে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা স্থান পেয়েছে। দলটাকে একটা লিমিটেড কোম্পানি বানিয়ে ফেলা হয়েছে। 

তারা বলেন, আমরা সিন্ডিকেটমুক্ত কমিটি চাই। নতুবা জেলায় দলের কাঠামো ভেঙে পড়বে। তাই সকল ইউনিটসহ জেলা কমিটির স্থগিতের আহ্বান জানাই। তা নাহলে বিকল্প জেলা কমিটি গঠনের হুশিয়ারি দেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ.স.ম খালিদ, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফফার, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল করিম, গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মইনুল হক, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।