
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
জামায়াতকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের ওপর ছাত্রসেনা, ছাত্রলীগের কর্মীরা যৌথভাবে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেকে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন, আলী হোসেন (৩০), মাওলানা নুরুজ্জামান ( ৪২), আবু ছালেক, মুন্নাসহ (৩২) বেশ কয়েকজন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বটতলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মঈনুদ্দিন জানান, আমাদের কর্মীরা ঈদ পরবর্তী কুশলাদি বিনিময়ের জন্য দায়িত্বশীলের বাড়িতে বেড়াতে যান। আগামী ১০ তারিখ আমাদের একটা মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। সে মাহফিলকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, ছাত্রসেনার ছেলারা হামলা করেছে। আমরা আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় আহত মো. আলী হোসেন (৪০) থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মারধরের সঙ্গে জড়িত থাকায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- নুর কালামের ছেলে নজিম উদ্দিন (২৬) আব্দুল বারীর ছেলে ছগীর (২৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৬), তৈয়ব তাহেরের ছেলে সিরাজুল মোস্তফা (২৮), আবু সৈয়দের ছেলে আরমান হোসেন (১৬), আব্দুর রশীদের ছেলে এয়ার মোহাম্মদ (৪০), নায় মিয়ার ছেলে মো. মহিউদ্দিন (৩০), সৈয়দ হোসেনের ছেলে রিয়াজুদ্দিন (২৮), মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ওয়াজুদ্দিন (৩২), আব্দুল আজীজ (২৩), মো. ইদ্রিছ, আব্দুল বারী (৫৫) মাওলানা আবদুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল (৩০)। এ ঘটনায় আরো ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রসেনার দুর্বৃত্ত। সরকারের পতনের পরও তারা নানাভাবে তারা স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনাস্থল এলাকায় একটি মাহফিলে আয়োজন করার কথা ছিল। আয়োজনের কার্যক্রম, সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাহফিল প্রাঙ্গন পরিদর্শন শেষে আসার সময় অতর্কিতভাবে হামলার শিকার হোন জামায়াতের নেতাকর্মীরা ।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সায়েম নামের এক স্থানীয় জানান, জামায়তের লোকজন যাওয়ার সময় কিছু মানুষ হঠাৎ করে হামলা করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অভিযোগকারী আহত স্থানীয় জামায়াত কর্মী বলেন, আমরা মাহফিল মাঠ দেখে চলে আসতেছি। এর মধ্যে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। জামায়াতের দায়িত্বশীলরা এখানে এসেছে। একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।