
প্রিন্ট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ এএম
সম্মানহানির দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার হুমকি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম

আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়ার অভিযোগের জেরে দুই সন্তানসহ এক মা আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নারী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে একটি পোস্ট দেন। মুহূর্তেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্মানহানির ঘটনায় থানায়
অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য তিনি দুই সন্তানসহ আত্মহত্যার
হুমকি দিয়েছেন।
ফেসবুক দেওয়া পোস্টে ওই নারী লেখেন, দাম্পত্য কলহের জেরে শারীরিক নির্যাতনের
শিকার হই। পরে এ বিষয়ে সালিশি বৈঠক বসে। নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করতে আমার স্বামী এক
ব্যক্তিকে জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করে। তবে সে বিষয়ে কোনো প্রকার প্রমাণ দেখতে
পারেনি। আয়নাল ভাই বলেন, এ বিষয়ে প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ করা ঠিক হয়নি। সালিশ শেষ
হওয়ার সময় একদল লোক (লিমন, হিমন, আলিফ, দেশ, মিজান) উপস্থিত হয়ে আমাকে হুমকি ও জোর
করে ওই লোকের নাম এবং সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে বলে। আমি অস্বীকার করলে, সালিশি বৈঠক
সমাপ্তি দিয়ে পুনরায় তারিখ দেওয়া হয়।
তিনি আরও লেখেন, গত ১ এপ্রিল আমার স্বামী একটি ভিডিও ভাইরাল হয় এবং পরকীয়ার
অভিযোগে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। যার জন্য আমিও থানায় একটি অভিযোগ দেয়। রাজনৈতিক উদ্দেশে
হাসিলে জন্য আমাকে ব্যবহার করছে একদল লোক। এ বিষয়ে পুলিশ আমাকে কোনো প্রকার নিরাপত্তা
ব্যবস্থা দেয়নি। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। লোক লজ্জার জন্য দুই সন্তানসহ মৃত্যু পথ
বেঁচে নিয়েছি। এ জন্য দায়ী যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি
একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গেলাম। তিনটি জীবনের জন্য পুলিশসহ তারা দায়ী থাকবে।
ভূঞাপুর থানার ওসি এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি
না। অহেতুক পুলিশকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তাকে কি নিরাপত্তা দেব। এ ব্যাপারে আমার কোনো
মন্তব্য নেই। সে আমার কাছে আসে নাই। তাহলে কীভাবে নিরাপত্তা দেব। তার বাসায় গিয়ে তো
নিরাপত্তা দিতে পারব না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জেরে গত ১ এপ্রিল ভূঞাপরে ছাত্রদলের
এক নেতাকে জড়িয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সস্পর্কের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন স্বামী
আলমগীর। এ ঘটনায় ৯ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আয়নাল হকের বাড়িতে সালিশ হয়।
সালিশে ওই নারী বলেন, ‘আলমগীরের সঙ্গে আমার ছোটবেলা থেকেই পরিচয়। এখনো
মাঝে মাঝে কথা হয়।’ ভুক্তভোগী স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলমগীরের দীর্ঘদিন
ধরে পরকীয়া চলছে।’
পরবর্তীতে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় একটি চক্র। একপর্যায়ে ওই
ভুক্তভোগী নারী মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিকার ও বিচার চেয়ে স্বামীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে
থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন।