
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কসবা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম

আরও পড়ুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাব্বির হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারুপ পশ্চিম পাড়ার বিলঘর হাদিস মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
মৃত সাব্বির কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারুপ পশ্চিমপাড়ার হানিফ
মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবিব্বর মিয়া প্রবাসে ছিলেন।
বছরখানেক আগে দেশে ফেরেন। এরপর ঢাকার একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে চাকরি নেন। ঈদের
ছুটিতে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সাব্বির। রাত ১টার দিকে
দুজন লোক তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বিষয়টি বিলঘর গ্রামের বন্ধু খাইরুলকে জানায় সাব্বির।
তাকেও আসতে বলেন তিনি।
বন্ধুর কথায় খাইরুল বাড়ি থেকে বের হন। তিনি বিলঘর হাদিস মার্কেটের কাছাকাছি
এলে সাব্বিরের চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে সাব্বিরের পরিবারকে খবর দেন খাইরুল। পরে
সাব্বিরের মা আমেনা বেগমসহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব্বিরকে আহত অবস্থায় পায়।
তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। পরে সাব্বিরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বিরকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে
শনিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে কসবা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সাব্বিরের মা আমেনা বেগম বলেন, ছেলেকে উদ্ধারের পর সে বলে, দুজন লোক
তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ১০ থেকে ১২জন তাকে পিটিয়েছে। এমনটা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই
সাব্বির আর কথা বলতে পারছিল না। পরে সে মারা যায়।
নিহতের চাচা ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি রাস্তার পাশে। এ রাস্তা দিয়ে
মাদক পাচার হয়। সাব্বির মাদক পাচারের বিরোধীতা করেন। তার অনেক শত্রু এলাকায় রয়েছে।
রাতে দুজন লোক তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। ব্রিজের
নিচে নিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। মাথায়ও আঘাত করেছে। মাকে ঘটনাটি বলতে বলতে মৃত্যুর
কোলে ঢলে পড়েন সাব্বির।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি
চলছে।’