
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রভাবশালীর ‘বাধা’

যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

আরও পড়ুন
তরমুজ দেওয়ার কথা বলে নাশির হাওলাদার (৪৫) সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রভাবশালীদের ভয়ে এ ঘটনা আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। তারা পুলিশ প্রসাশনের কাছে আইনি সহায়তা দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের স্কুলছাত্রীকে তরমুজ চাষি নাশির হাওলাদার তরমুজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। ওই সময় ঘরে তার পরিবারের কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্কুলছাত্রীর ডাক চিৎকারে মানুষ এসে পড়তে নাশির হাওলাদার ধর্ষণে ব্যর্থ হয়। ওই স্কুলছাত্রীর অভিযোগ তাকে ঘরে নিয়ে নাশির ঝাপটে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। তার পাজামা ও ওড়না ছিড়ে ফেলেছে।
এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে নাশির স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা না নিতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। তারা প্রভাবশালীদের ভয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী পরিবার আইনি সহায়তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহায়কা দাবি করেছেন।
স্কুলছাত্রী বলেন, ‘তরমুজ দেওয়ার কথা বলে নাশির হাওলাদার আমাকে ঘরে ডেকে নেন। আমি ঘরে ওঠা মাত্রই তিনি আমাকে ঝাপটে ধরেন এবং আমার পরিধানের কাপড় ছিড়ে ফেলেন। আমি ডাক চিৎকার দিলে তিনি আমাকে ছেড়ে দেন। আমি ওই নাশির হাওলাদারের শাস্তি দাবি করছি।’
স্কুলছাত্রীর মার অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আইনি ব্যবস্থা নিতে দেয়নি। তারা সালিশ ব্যবস্থার নামে আমাকে হয়রানী করছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রভাবশালীদের চাপে আমি থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছি না। নাশির হাওলাদার আমার মেয়েরে সর্বনাশ করেছে। তার শাস্তি দাবি করছি।’
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।’