
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ এএম
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ

চরফ্যাশন দক্ষিণ (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

আরও পড়ুন
চরফ্যাশনে পূর্ব বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার হামলায় মাসুদ (৩৮) নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ওই পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৬ জন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় দুলারহাট থানার আবু বক্করপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মাসুদ ওই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও ঢাকা সাভার এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
নিহতদের ভাই রায়হান জানান, তিনি এবং তার ভাইয়েরা ঢাকার সভার এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন। ঈদে তারা ঢাকা থেকে আবু বক্করপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার রাতে তার স্ত্রী আকলিমা ও বোন সিমার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় প্রতিবেশী আবু বক্করপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলামিনসহ কয়েকজন যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার কারণ জানতে চান।
এ সময় তার ছোট ভাই রাসেল তাদের ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক হয়। তর্কের জেরে আলামিন তার দলবলকে ডেকে এনে রাতেই প্রথম দফায় ওই বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তৎক্ষণিক ওই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। এতে সন্তুষ্ট হননি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন। তার অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে বাড়িতেই অবরুদ্ধ ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার তাদের পারিবারিক কাজের জন্য তিনি এবং অপর ভাই মহসিন স্থানীয় দুলারহাট বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় আলামিনসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা মোটরসাইকেলে গিয়ে তাদের গতিরোধ করে দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি ওই আলামিনসহ তার দলবল। ফের তাদের বাড়িতে গিয়ে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্য ভাই মাসুদসহ অপর সদস্যরা বাধা দিলে ওই নেতার দলবলের মারধরে ভাই মাসুদসহ অপর ৬ সদস্য গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে এলে তার বড় ভাই মাসুদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচা সালাউদ্দিন জানান, পূর্বের ঘটনার জন্য একটি সমঝোতার তারিখ হয়েছিল। ওই সমঝোতার তারিখ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত আলামিন শুক্রবার সকালে ফের তার দুই ভাতিজার ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। তাদের হামলা ও মারধরে তার ভাতিজা মাসুদ নিহত হয়েছেন। এ হত্যার বিচারের দাবি জানান তিনি।
যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।