
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৬ এএম
স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ১

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
-67efe50d88d86.jpg)
নেত্রকোনার আটপাড়ায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর এক স্বজনকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটে আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে তাকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই ছাত্রীর স্বজনকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতার শাহ আলম উপজেলার দশভাগিয়া গ্রামের আবদুস ছাত্তার চৌধুরীর ছেলে।
আহত ব্যক্তি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার গলায় অস্ত্রোপচারে ৪০টি সেলাই লেগেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। সম্প্রতি মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করায় শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মেয়েটি ওই স্বজনকে (৩২) ঘটনাটি জানায়। ওই স্বজন এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় শাহ আলমের সঙ্গে তার তর্ক হয়। এ সময় শাহ আলম প্রকাশ্যে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই স্বজন বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের দোকানে যান। এ সময় আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা শাহ আলম ওই স্বজনের গলায় ছুরিকাঘাত করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহতের স্ত্রী রীমা আক্তার বাদী হয়ে শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুরে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বলেন, শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। এর প্রতিবাদ করায় সে আমার ভাতিজাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে। শাহ আলম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। সে তার মা-বাবাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মঙ্গলবার দুপুরে শাহ আলম মুঠোফোনে বলেছিলেন, তিনি কাউকে উত্ত্যক্ত বা কোনোরকম হয়রানি করেননি। এছাড়া কারো ওপর হামলা চালানো বা ছুরিকাঘাতের সঙ্গেও তিনি যুক্ত নন। ওই ব্যক্তিকে কে ছুরিকাঘাত করেছে, তা তার জানা নেই।
এ বিষয়ে আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় শুক্রবার দুপুরে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।