
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ এএম
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন সারজিস

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

আরও পড়ুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, প্রতিটা রাষ্ট্রের মধ্যে আন্তঃদেশীয় আদান-প্রদানের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে অনেক দেশ ব্যবসা বাণিজ্য করছে। এটি আদি ঐতিহ্যভাবে চলে আসছে। তবে এগুলো সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। কারো একক নিয়ন্ত্রণে নয়। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে। তবে সেটা হবে শ্রদ্ধা ও সম্পর্কের মাধ্যমে। এ সম্পর্কের জায়গা থেকে কেউ যদি ‘ডমিনেট’ করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা আর চোখ রাঙানি দেখব না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকবে। এই পারস্পারিক সম্পর্কের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে বিশ্ব।
সারজিস আলম তার নির্বাচনি এলাকা পঞ্চগড়-১ আসন (আটোয়ারী-তেতুলিয়া ও পঞ্চগড় আংশিক) থেকে এসে শুক্রবার রংপুর কেরামতিয়া মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। পরে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, বিগত একযুগ ধরে গণমুখী মানুষের রাজনীতি ছিল না। তাই আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের কাছে ফিরে যেতে চাই। সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চাই। আজ থেকে সেই সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে মাঠে-ঘাটে অলিগলিতে মানুষের কাছে যেতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা তুলে ধরতে চাই।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, আমাদের প্রত্যাশা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জানতে চাই, তারা কী চায়। জনগণের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে, তাদের ভোটের মাধ্যমে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করাই আমাদের লক্ষ্য।
বাজেট নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, বিগত ১৬ বছরে সব বাজেট ছিল অঞ্চলভিত্তিক। বাজেটের বেশিরভাগ গেছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গ শুধু দিয়েই গেছে। এ অঞ্চলে ফসল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য উত্তরবঙ্গে উৎপাদন হয়। কিন্তু পাওয়ার সময় যতটুকু প্রাপ্য ততটুকু পাইনি। তাই আমরা মনে করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উত্তরবঙ্গের জন্য যতুটুক বাজেট দরকার ততটুকু রাখবে। এ বিশ্বাস রাখতে চাই। কেননা বৈষম্য করে, অন্যায় করে যে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না, তার উদাহারণ হচ্ছে খুনি হাসিনা।
প্রার্থী মনোনয়নে কেমন চ্যালেঞ্জ দেখছেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে মাত্র এক মাসের দল এনসিপি। তাই সারা দেশে প্রার্থী মনোনয়নে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। যারা নতুন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, তরুণদের নেতৃত্ব যারা পছন্দ করে, যারা সৎ, যোগ্য মানুষ এমন মানুষকেই আমরা মনোনয়ন দিতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঈদের পরে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ থেকে। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত রয়েছি।
সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে সারজিস আলম বলেন, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আমাদের দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম এক মাসের মধ্যেই শুরু হবে। আমাদের সারা দেশে অনেক সমর্থক রয়েছেন, শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। আমরা ২৪-এর স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।