
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
মৃত্যুর কাছে হার মানল প্রেমাও

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
-67efd3bbc0107.jpg)
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রেমার বাবা রফিকুল ইসলাম শামীম, মা লুৎফুন নাহার সুমি, বোন লিয়ানা (৮), আনীষা (১৪) এবং ফুফাতো বোন তানিফা ইয়াসমিন এবং শামীমের পারিবারিক বন্ধু মুক্তার হোসেনও মারা গেছেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন প্রেমার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুজন এখনো চিকিৎসাধীন।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ধীমান চৌধুরী জানিয়েছেন, গুরুতর আহত প্রেমার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শেষপর্যন্ত শুক্রবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহণের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও তিনজন।
দোহাজারি হাইওয়ে থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানিয়েছেন, রফিকুল ইসলাম শামীম পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। ওই মাইক্রোবাসে করে পরিবারসহ কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছিলেন তারা।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস চালক ইউসুফ আলী, যাত্রী দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা মণ্ডল, সাধনার বাবা আশীষ মণ্ডলও মারা যান।
তাদের মধ্যে আনীষা ছাড়া অন্যরা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আনীষাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দিলীপ বিশ্বাসের ছয় বছর বয়সি মেয়ে আরাধ্যা বিশ্বাস এবং সাধনা মণ্ডলের ভাইপো দুর্জয় মণ্ডল এখনো চিকিৎসাধীন।