
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ এএম
আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম

আরও পড়ুন
নওগাঁর রাণীনগরে একটি হোটেলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর দাবি, চাঁদা না দেওয়ায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলে এ হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি ভাঙচুর করে নিয়ে গেছে নগদ টাকাও। অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আওয়ামী নেতা বলেন, ওই ব্যবসায়ী আমার আত্মীয়। তার কাছে আমার ছেলে টাকা পাবে। টাকা চাওয়ায় দ্বন্দ্ব হয়।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে তোফাজ্জল হোসেনের দোকানে এ ঘটনা
ঘটে। ওই দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় হাতাহাতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ঘটনার দিন রাতেই ওই
ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা, তার ছেলেসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে রাণীনগর থানায় লিখিত
অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম মান্নান মুহুরী। তিনি উপজেলার কাশিমপুর
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তার ছেলে উজ্জল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয়
সদস্য বলে জানা গেছে। আর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তোফাজ্জলের বাড়ি উপজেলার চকাদিন গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে
মান্নান মুহুরীর ছেলে উজ্জল টাকা না দিয়েই দোকান থেকে প্রায় ১০ কেজি মিষ্টি নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে এসে উজ্জল কোনো কারণ ছাড়াই দুই হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় তিনি
টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে গালাগাল করেন।
খবর পেরে মান্নান মুহুরী ওই দোকানে আসেন। এ সময় ওই ব্যবসায়ী ও তার মধ্যে
বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মান্নান মুহুরী তোফাজ্জলের উপর হামলা চালায়। হামলায় বাবার
সঙ্গে যোগ দেয় ছেলেও। তাদের হামলায় দোকানে থাকা প্রায় আট মণ মিষ্টি নষ্ট হয়। ক্যাশ
থেকে তারা দুই লাখেরও বেশি টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে মান্নান মুহুরী বলেন, ‘তোফাজ্জল আমার আত্মীয় হয়। উজ্জল
তোফাজ্জলের কাছে টাকা পাবে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে তোফাজ্জল তাকে গালাগাল করে। বিষয়টি
আমি শুনে সেখানে যায় ও তোফাজ্জলের সঙ্গে কথা বলি। এ সময় তোফাজ্জল হাতে রড নিয়ে আমাকে
মারতে চাই। তখনই আমি তাকে মারধর করি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করার চেষ্টা চলছে।’
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার
পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’