
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৭ এএম
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগ

লাকসাম-মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৬ পিএম

কুমিল্লা লাকসাম উপজেলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের দাবি, টর্চের আলো চোখে পড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান সহযোগীদের নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে ও পরিবারের লোকজনকে মারধর করে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় কর্মরত রয়েছেন।
ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি মনপাল গ্রামে আসেন তিনি।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এমরান পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেপরোয়া
হয়ে উঠেন এমরান। বেশ কিছুদিন আগে এমরান মনপাল গ্রামে কয়েকটি পোষ্টার টানান। দুই একদিন
আগে শিশুরা খেলার সময় ঢিল মারলে সেটি ছিঁড়ে যায়। বিষয়টি জেনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
ঘটনাস্থলে এসে গালাগাল করেন এমরান। ওই সময়
রাস্তা দিয়ে টর্চের আলোয় ঘরে ফিরছিলেন ছুটিতে আসা পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম।
টর্চের আলো এমরানের চোখে পড়লে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এমরান। সহযোগীদের
নিয়ে সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালান তিনি। এ সময় কনস্টেবলকে কুপিয়ে ও পরিবারের লোকজনকে
মারধর করে জখম করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে আহতদের উদ্ধার
করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহত পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমি টর্চের আলোতে
বাড়িতে ফিরছিলাম। দূর থেকে আলো এমরানের চোখে পড়লে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। দলবল নিয়ে
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমার বাড়ির লোকজনকে পিটিয়ে আহত ও প্রাণনাশের
হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। হামলার
পর থেকে এমরান আত্মগোপনে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’