
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
-67eeba141de68.jpg)
আরও পড়ুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কারিগরি অধিদপ্তরে স্থানান্তর জটিলতায় তিন মাস ধরে বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না নাটোরের বাগাতিপাড়ার প্রায় অর্ধশত এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইএফটির মাধ্যমে তারা ডিসেম্বর মাসের বেতন পেলেও জানুয়ারি মাস থেকে কোনো বেতন-ভাতাদি পাননি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারী।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ২০১০ সালের পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত কারিগরি এসব শিক্ষক-কর্মচারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে ওই অধিদপ্তরের অধীনে বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন। পরবর্তীতে কারিগরি অধিদপ্তর আলাদা করা হলে মাউশি থেকে কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের কারিগরি অধিদপ্তরে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নানা জটিলতায় স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় আটকে গিয়ে কারিগরি এসব শিক্ষক-কর্মচারীরা মাউশির অধীনেই দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন-ভাতাদি পেয়ে আসছেন। সম্প্রতি ইএফটির মাধ্যমে মাউশি থেকে ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতাদিও তারা পেয়েছেন। হঠাৎ করেই জানুয়ারি মাসের ইএফটি তালিকায় তাদের নাম না দেখে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবাক হন।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা দফতরে দফতরে ঘুরেও সমাধান পাচ্ছেন না। এদিকে ঈদের আগে ইএফটি জটিলতায় আটকে থাকা প্রায় সব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী এসব কারিগরি শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি, এমনকি উৎসব ভাতাও দেওয়া হয়নি।
তারা আরও জানান, সারা দেশে ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এমন জটিলতায় তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এর মধ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারী এমন সমস্যায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বলেন, ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের বেতন পেয়েছেন। এরপর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের বেতন তারা পাননি। সারা দেশে ৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে। তিনি দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।