
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
মাইক্রোবাসকে ওভারটেক করতে না পেরে যাত্রীদের নামিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন অটোচালক

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ পিএম

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অটোচালকের সঙ্গে তর্কবিতর্কের জের ধরে মাইক্রোবাসের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা টাকা-স্বর্ণ লুট, শ্লীলতাহানি, মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামে
ঘটনাটি ঘটেছে। ভয় দেখিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করবেন বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রবাসী করিম খানের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জিনিয়া।
প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জিনিয়া
জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পরিবারের লোকজন নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি
লৌহজং উপজেলায় প্রাইভেট গাড়ি হাইয়েস নিয়ে যাওয়ার সময় চন্দধূল এলাকায় একটি দ্রুতগতির
অটোরিকশা সরু রাস্তায় ওভারটেক করতে না পেরে আমাদের গাড়ি থামিয়ে খারাপ ভাষায় গালমন্দ,
বকাঝকা করলে গাড়িতে থাকা আমার প্রবাসী স্বামী করিম খান, আমার ভাই মিনহাজুল ইসলাম পাপ্পু
তাদের খারাপ কথার প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের মীমাংসা
করে দেন। কিছু দূর সামনে আমরা যেতেই অটোচালক লোকজন নিয়ে এসে আমাদের পথরোধ করে চন্দধূল গ্রামের মো. রনি, জব্বার,
রাসেল, সারোয়ারসহ ১০-১৫ জন আমাদের গাড়ি থামিয়ে আমাদের সবাইকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে
বের করে এলাপাতারি মারধর করেন।
এ সময় আমার স্বামীর পকেটে থাকা ৩৫ হাজার
টাকা, আমার একভরি ওজনের গলার চেইন লুট করে নেয়। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনি আক্তার
ছয় মাসের গর্ভবতী, তার জামা কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে পেটে কিলঘুসি লাথি মেরে গুরুতর আহত করে।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী করিম খান জানান,
আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকি। রোজার সময় দেশে
এসেছি। এলাকার অনেককেই চিনি না, আমাকেও তারা চিনেন না। সরু রাস্তা হওয়ায় আমরা আস্তে
গাড়ি চালাচ্ছিলাম। গাড়িতে আমাদের পরিবারের লোকজন ছিল। পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা
করে, আমাদের মারধর করে টাকা-স্বর্ণ নিয়ে গেছে। আমি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে
এর সঠিক বিচার চাই।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
শাহেদ আলম মামুন বলেন, এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অপরদিকে তাদের
বিরুদ্ধেও একটি পক্ষ অভিযোগ করেছে। আমরা দুটিই তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে ঘটনার
নেপথ্যে কারা।