
প্রিন্ট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৬ এএম
পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
-67ed5b5c16a4e.jpg)
আরও পড়ুন
বগুড়ায় মদ্যপ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের সামনে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে জনগণ স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে শহরের সাতমাথায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহবুব তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছেন। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন এ তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়ার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (৩৬), স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী, একই এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আহসান হাবিব (১৮) ও স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী একই এলাকার হেকমতের ছেলে নুরুল ইসলাম (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা গাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শহরের সাতমাথায় আসেন। তারা চা পানের জন্য গাড়ি থেকে নামলে সেখানে মদ্যপ অবস্থায় শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রুহুল আমিন, কর্মী আহসান হাবিব ও নুরুল ইসলাম সেখানে আসেন।
রুহুল আমিন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, এত রাতে আপনার সঙ্গে ওই মহিলা কে? পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিবাদ করলে রুহুল আমিন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সিরাজুল হকের হস্তক্ষেপে পুলিশ কর্মকর্তা তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চলে যান। এ সময় উপস্থিত জনগণ পুলিশের পক্ষ নিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তখন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা জনগণের ওপর চড়াও হন। তখন জনগণ তাদের তিনজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সিরাজুল হক জানান, পুলিশ কর্মকর্তা ও জনগণের সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় তিনজনকে নিবৃত্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই মদ্যপ ছিলেন। এ ব্যাপারে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদ সদর থানায় গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছেন।
সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজন মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী-সন্তানের সামনে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। উপস্থিত জনগণ প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর চড়াও হন। এরপর তাদের গ্রেফতার ও রাতেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তারা সবাই মদ্যপ ছিলেন। মামলার পর বুধবার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এমন ঘটনা শুনেছেন। এ ধরনের নেতাকর্মীদের আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।