ঈদগাহ ময়দানে চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা

নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক হিমায়েত হুসাইন ফারুকের ওপর ঈদগাহ ময়দানে আকস্মিক হামলার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিছালী ইউনিয়নের মধুরগাতী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ওই ঈদগাহ ময়দানে নামাজ শেষে ঈদগাহ ময়দানের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ে চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে একই এলাকার যুবক হুমায়ুন মোল্যা হঠাৎ চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করে। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় উপস্থিত মুসল্লিরা দ্রুত এগিয়ে এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে। পরে তাকে নিরাপদে তার বাড়িতে  পৌঁছে দেয়। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরেক অভিযুক্ত মশিয়ার রহমান ফকিরও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।

চেয়ারম্যান হিমায়েত হুসাইন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, আমি ঈদগাহে বক্তব্য দিচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করেই হুমায়ুন তার সঙ্গীদের নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালান।  হুমায়ুন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, চুরি-ছিনতাই ও লুটপাটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব কাজে তাকে মদদ দেন বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মশিয়ার রহমান ফকির। আমি তার অপকর্মে বাঁধা দেওয়ায় মশিয়ারের নির্দেশেই হুমায়ুন আমার ওপর এই হামলা চালিয়েছে। আমি এর সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত বিচার চাই।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।