
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩১ এএম
সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:০৭ পিএম

আরও পড়ুন
পরপর দুটি অগ্নিকাণ্ড ও ঈদকে সামনে রেখে চোরা শিকারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠায় বনবিভাগ পূর্ব সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। গত দুই সপ্তাহে পৃথক ঘটনায় প্রায় আট মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসব কারণে সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল ও ধানসাগর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির শাপলার বিলের তেইশেরছিলায় দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ৬ একর বনভূমির গাছপালা।
অপরদিকে সম্প্রতি সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক জায়গায় হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে। ঈদের আগে পরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে গোপনে হরিণ মাংস বিক্রি হওয়ার খবর রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের অভিযানে প্রায় আট মণ হরিণের মাংস ও হরিণ ধরার বিপুল পরিমাণে ফাঁদ উদ্ধার জব্দ করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চোরা শিকারিরা সুন্দরবনে হরিণসহ বণ্যপ্রাণী শিকারে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এসব কারণে অগ্নিদস্যু ও শিকারিদের প্রতিরোধে বনবিভাগ রেড অ্যালার্ট জারিসহ বনরক্ষীদের ছুটি সীমিত করেছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরা শিকারিদের ধরতে সুন্দরবনের সব টহল ফাঁড়ি ও স্টেশনের বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। বনরক্ষীরা তাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করীম বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি। বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর চোরা শিকারি চক্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে একটি চক্র তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদের প্রতিরোধে বনরক্ষীদের বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।