গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

শেরপুরের শ্রীবরদীর মুন্সিপাড়া থেকে সেলিনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সেলিনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী স্বপন মিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত স্বপন মিয়া উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে তিন বছর আগে শ্রীবরদীর মুন্সিপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে ইজারাপাড়ার জমশেদ আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু স্বপন মিয়া বেকার এবং নেশাগ্রস্ত হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকতে। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে স্বামী-স্ত্রী শুয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোরে সেহরি খাওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেলিনার পরিবারকে খবর দেয় তাদের মেয়ে ধন্নার সঙ্গে ঝুলে আছেন। বিষয়টি শ্রীবরদী থানা-পুলিশকে জানালে শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে সেলিনার বাবা জমশেদ আলী অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা শ্রীবরদী থানায় রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী স্বপন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা নিয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেবে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের স্বামী স্বপন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।