
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। যার ফলে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে সড়ক ও নৌপথে। তবে ভোগান্তি নেই বললেই চলে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের সঙ্গে অনেক সাধারণ যাত্রী আসছেন।
একইভাবে লঞ্চযোগেও আসছেন বহু মানুষ। তবে প্রতিটি লঞ্চেই ছিল ভিড়। এ অবস্থায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ থেকে নেমেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের জন্য সহজেই মিলছে যাত্রীবাহী বাস। এর জন্য খোলা হয়েছে বাসের অতিরিক্ত কাউন্টার।
পথে কোনো ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন অধিকাংশ যাত্রী। তবে যাত্রীর চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া ঘাটে নেই কোনো যানজট বা ভোগান্তি।
ঢাকা থেকে আসা কুষ্টিয়ার যাত্রী ফাহমিদা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি ঈদের মতো এবারো কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে ফিরতে পারছি। পথে যানজট নেই, এমনকি ফেরিঘাটেও ভোগান্তি নেই।’
লালন পরিবহণের যাত্রী আব্দুস সালাম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে ফেরিঘাটে ভোগান্তির শেষ ছিল না। এখন সেই ভোগান্তি নেই। সেতু চালুর পর থেকে ঈদে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারি। এবারও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছি।
প্রাইভেটকার চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার দুই পারের কোথাও তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। ঘাটে আসামাত্রই ২০ মিনিটের মধ্যে ফেরিতে উঠতে পেরেছি। অথচ এক সময় দুই ঘাটে কত ভোগান্তি ছিল!
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার এজিএম মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এবারের ঈদে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। কোনোরূপ ভোগান্তি ছাড়াই ফেরিতে উঠে যাত্রী ও যানবাহন নদী পার হতে পারছে। আশা করছি এবার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বাড়ি ফিরবেন এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরবেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান জানান, ঘাটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, দালাল ও যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বস্তির ঈদযাত্রা উপহার দিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ সমন্বয় করে কাজ করছে। আশা করছি সবাই ভালোভাবে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে বাড়ি ফিরতে পারবেন।