
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৫ এএম
ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শরীফ বাঁচতে চায়

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম

আরও পড়ুন
ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন কেন্দুয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ। টিউমারটি চোখের পেছন দিয়ে বড় হয়ে আসায় ইতিমধ্যে ডান চোখ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা দিল্লিতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে রোগটি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠা সম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা বাবদ ৮ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু দরিদ্র চা দোকানদারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। তাই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় কলেজছাত্র শরীফ বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন।
তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দিগদাইর গ্রামে। বাবা শহীদুল ইসলাম চা দোকানদার এবং মা রোজিনা আক্তার গৃহিনী।
শরীফের মা রোজিনা আক্তার জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ছেলের ডান চোখের পেছনে কিছু একটা হয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে দেখেন। ব্যথায় কান্নাকাটি করত শরীফ। এ অবস্থায় চোখের সমস্যা মনে করে কিশোরগঞ্জ চোখের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম আকন্দকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটা চোখের সমস্যা নয় জানতে পেরে তাকে ময়মনসিংহ নিউরো সার্জন অধ্যাপক মো. হারুন অর রশীদের কাছে পাঠান। তিনি চেকআপ করে শরীফকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরামর্শ দেন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেড়মাস ভর্তি থাকার পর ডাক্তাররা জানান, এখানে অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি (আগারগাঁও, ঢাকা) পাঠান। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এমআরই সহ আরও কিছু পরীক্ষার পর জানান শরীফের টিউমার অপারেশন এদেশে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে দেশের বাইরে কোথাও চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
দিল্লি গিয়ে চিকিৎসা করালে শতভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানান তারই একজন প্রতিবেশী। সেখানে শরীফের এমআরই রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ওয়াটসঅ্যাপে পাঠালে সেখানকার ডাক্তাররা তাদের হাসপাতালে চিকিৎসায় শতভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব বলে জানান।
পুরো চিকিৎসায় ১৭ লাখ টাকা লাগলেও শরীফকে দরিদ্র ছাত্র হিসেবে ৯ লাখ অনুদান দিয়ে ৮ লাখ টাকায় করে দিবেন সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে হতদরিদ্র বাবার সারাদেশে ঘুরতে ঘুরতে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এত টাকা জোগাড় করার মতো কোনো সামর্থ্য নেই তার বাবা মায়ের।
তারা দেশের সব ধনবান, দানশীল এবং মানবিক মানুষের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছেন।